ব্যবসায়ের আর্থিক অবস্থা জানার জন্য হিসাবকালের শেষ দিনে ব্যবসায়ের সকল সম্পদ, দায় ও মূলধন নিয়ে আর্থিক অবস্থার বিবরণী প্রস্তুত করা হয়। আর্থিক অবস্থার বিবরণী থেকে স্থায়ী ও চলতি সম্পদ, দীর্ঘমেয়াদি ও স্বল্পমেয়াদি দায় এবং মালিকের মূলধনের পরিমাণ জানা যায়। এসব তথ্যকে বিশ্লেষণ করে ব্যবসায়ের বিভিন্ন সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা যায়। যেমন : দায়-দেনা সম্পদের কত অংশ, চলতি সম্পদ চলতি দায় মিটাতে যথেষ্ট কি না, নিট মুনাফা বিনিয়োজিত মূলধনের কত অংশ ইত্যাদি বিষয় জানা যায়।
আর্থিক অবস্থার বিবরণীতে দুই স্তরে তথ্য লিপিবদ্ধ করা হয়। প্রথম স্তরে সম্পদসমূহকে চারটি ভাগে দেখানো হয়। যেমন : (১) স্থায়ী সম্পদ (২) দীর্ঘমেয়াদি বিনিয়োগ (৩) চলতি সম্পদ ও (৪) অলীক সম্পদ। দ্বিতীয় স্তরে মালিকানা স্বত্ব ও দায় দেখানো হয়। দায়কে দুই ভাগে ভাগ করা হয়। যেমন (১) দীর্ঘমেয়াদি দায় ও (২) চলতি দায় বা স্বল্পমেয়াদি দায় ।
আর্থিক অবস্থার বিবরণীতে সম্পদ ও দায়কে দুইটি পদ্ধতিতে সাজানো যায়। যথা : (১) স্থায়ী অগ্রাধিকার পদ্ধতি ও (২) তারল্যের অগ্রাধিকার পদ্ধতি। স্থায়ী অগ্রাধিকার পদ্ধতিতে সম্পদ সাজানোর ক্ষেত্রে প্রথম স্থায়ী সম্পদ লিখতে হয়। এরপর বিনিয়োগ, চলতি সম্পদ ও অলীক সম্পদ ধারাবাহিকভাবে লেখা হয়। আবার দায় লেখার ক্ষেত্রে প্রথমে দীর্ঘমেয়াদি দায় ও শেষে চলতি দায় দেখানো হয়। পক্ষান্তরে তারল্যের অগ্রাধিকার পদ্ধতি স্থায়ী অগ্রাধিকার পদ্ধতির ঠিক বিপরীত। তবে অলীক সম্পদ থাকলে তা সম্পদের শেষে দেখানো হয়।
Read more